ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে বাড়েরা দক্ষিণ বাজারের সেতু সংলগ্ন খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে এ নবজাতক। খাল পাড়ের বাসিন্দা ওসমানের মা মনোয়ারা বেগম (৬০) প্রথমে শিশুটিকে দেখতে পান। বর্তমানে সে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের হেফাজতে রয়েছে।
মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম খাল পাড় থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পাই। সারা রাত প্রচণ্ড ভয়ে ছিলাম। পরদিন ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করি।’
ওসমানের পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, রাতে পিঠা তৈরির সময় শিশুর কান্না শুনে তারা চরম ভয় পেয়ে যান। থেমে থেমে আনুমানিক ২টা পর্যন্ত কান্না শোনা যায়।
পরে বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম ফজরের নামাজের পর ছুটে যান খাল পাড়ে। কিছুটা হাঁটার পর দেখেন খালের এক পাশে কাঁদা মাখা অবস্থায় পড়ে আছে ফুটফুটে নবজাতক। প্রথম মৃত ভাবলেও কাছে গিয়ে দেখেন বুক কাঁপছে। পরে তিনি খাল থেকে নবজাতককে নিয়ে যান বাড়িতে।
বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহিন আলম বলেন, ‘ঘটনা শুনে সকালেই ওসমানদের বাড়িতে যাই। বাচ্চাটির শারীরিক অবস্থা নাজুক দেখে দ্রুত চান্দিনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেই। সেখানে চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে নিজের বাড়ি নিয়ে রেখেছি।’
বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে কেউ খাল পাড়ে নবজাতককে ফেলে যায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে ইউপি সদস্যের বাড়িতে রাখা হয়েছে। এলাকায় কোন পরিবার এটি করেছে তা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’